জন্ম ১৫ জুন। বাবা মোঃ রুহুল আমিন খান ও মা আনোয়ারা বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ। বেড়ে উঠেছেন ঢাকা শহরে। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর।
বর্তমানে রপ্তানিমূলক প্রতিষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (মার্চেন্ডাইজিং এবং মার্কেটিং) হিসেবে কর্মরত। তাছাড়া তিনি ‘হোপস গিভার ট্রাস্টে’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, যার মাধ্যমে ‘স্বাবলম্বী’ নামে একটি বিশেষ স্কুল পরিচালিত হয়। তিনি এর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
নাসিমা খান বকুল ১৯৯৮ সাল থেকে মুক্তধারা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্রের সাথে নিরবচ্ছিন্ন পথ চলছেন। আবৃত্তির পাশাপাশি নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনে এবং আমন্ত্রিত হয়ে কলকাতা ও আগরতলাতে বিভিন্ন সময়ে আবৃত্তি পরিবেশন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র যেমন—কুলি, পথশিশু, পানাম নগরীর পথে পথে-তে কণ্ঠ দিয়েছেন।
প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্য টেল অব জিপসি চিল্ড্রেন’-এর পান্ডুলিপি রচনা করেছেন। এটি ২০০৬ সালে ইউনিসেফ-এর মিনা পুরস্কার লাভ করে।
বিভিন্ন সময়ে তাঁর কবিতা ও গল্প দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেই থেকে সাহিত্যচর্চা শুরু। ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘হৃদয়ের গভীরে’। ২০২২-এর বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করে তাঁর দ্বিতীয় প্রকাশনা, প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রতীক্ষ্য প্রহর’।
আবৃত্তি ও সাহিত্যচর্চায় বাকি জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি।