সেলিনা হোসেন (Selina Hossain)
প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেনের জন্ম ১৪ জুন ১৯৪৭ সালে। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্ধ সংকটের সামগ্রিকতা। সর্বশেষ বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব নিয়োজিত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বি.এ. অনার্স এবং ১৯৬৮ সালে এম.এ. পাস করেন।
সেলিনা ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা পরিচালক হন। ২০০৪ সালের ১৪ জুন চাকুরি থেকে অবসর নেন। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। সেই সময়ের লেখা নিয়ে প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘উৎস থেকে নিরন্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তারপর উপন্যাস, গল্প, শিশুসাহিত্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণসহ লেখালেখির নানাক্ষেত্রে তিনি বিচরণ করেছেন। প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ৩৫টি, গল্প গ্রন্থ ১৩টি, ২২টি শিশু-কিশোর গ্রন্থ এবং প্রবন্ধের গ্রন্থ ১০টি। এছাড়াও ১৩টি সম্পাদনা গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।
সাহিত্যসাধনার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮০), একুশে পদক (২০০৯) ও স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৮) অর্জন করেন। এছাড়া ১৯৯৪-৯৫ সালে তিনি তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ রচনার জন্য ফোর্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট উপাধি পান।
২০১৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সন্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রিতে ভূষিত করে। ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি, কানাড়ি, রুশ, মালে, ফরাসি প্রভৃতি ভাষায় তাঁর বেশ কয়েকটি গল্প অনূদিত হয়েছে। ১৯৮৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ এবং ১৯৮৩ সালে ‘নীল ময়ূরের যৌবন’ এবং ১৯৯৯ সালে ‘টানাপোড়েন’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ পায়। পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ‘যাপিত জীবন’ এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ উপন্যাস পাঠ্যসূচিভুক্ত। ২০২১ সালে সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
Filter
Product categories
Sort by: