
আণবিক আঁধার
‘আণবিক আধার’ প্রবহমাণ সময়ের উপন্যাস। একই সঙ্গে এই সময় গ্রন্থিত করে অতীতকে এবং নিকট বর্তমানকে- যে বর্তমান পরিবর্তনের রূপান্তরে শুদ্ধ না হলে প্রবহমাণই থেকে যাবে। এ সময়ের স্রোত জনগোষ্ঠীর যে অংশের অনুকূলে নয় তার নাম নারী। প্রশান্তি এই নারী সমাজের প্রতিনিধি। প্রশান্তিকে লড়াই করতে হচ্ছে এক অস্বাভাবিক আঁধারের বিরুদ্ধে। যে আঁধার প্রাকৃতিক নয়, যে আঁধারের সৌন্দর্য মানব হৃদয়কে উদ্ভাসিত করে...
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০০৩
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
216
ISBN
9848682228
বইয়ের তথ্য
‘আণবিক আধার’ প্রবহমাণ সময়ের উপন্যাস। একই সঙ্গে এই সময় গ্রন্থিত করে অতীতকে এবং নিকট বর্তমানকে- যে বর্তমান পরিবর্তনের রূপান্তরে শুদ্ধ না হলে প্রবহমাণই থেকে যাবে। এ সময়ের স্রোত জনগোষ্ঠীর যে অংশের অনুকূলে নয় তার নাম নারী। প্রশান্তি এই নারী সমাজের প্রতিনিধি। প্রশান্তিকে লড়াই করতে হচ্ছে এক অস্বাভাবিক আঁধারের বিরুদ্ধে। যে আঁধার প্রাকৃতিক নয়, যে আঁধারের সৌন্দর্য মানব হৃদয়কে উদ্ভাসিত করে না। এই সাময়িক আঁধার মানুষেরই তৈরি, মানুষের বিরুদ্ধে। এ উপন্যাসের কাহিনী জীবনের ভগ্নাংশের টুকরো- কিন্তু সমাজ পরিপ্রেক্ষিতে টুকরোগুলো বিচ্ছিন্ন নয় একটি গভীর যোগসূত্র আছে। দীর্ঘ সময় ধরে লালিত সমাজমনস্কের ক্লেদ এর উৎস। সময়ের সাথে সাথে সমাজ অনেকখানি পরিচ্ছন্ন হতে পেরেছে এই ক্লেদ থেকে, কিন্তু তারপরও যা আছে তা নানাভাবে, নানা প্রক্রিয়ায় বিপর্যস্ত করে নারীকে। এই প্রক্রিয়ার একটাই সীমা টানা আছে, তা নারীর উপর পুরুষের আধিপত্য। এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র প্রশান্তি। সে তার চারপাশে সংঘটিত ঘটনারাজি শুধু দেখে না, প্রয়োজনে রুখেও দাঁড়ায়। তার নিজের জীবন ও ছকবাঁধা গণ্ডির বাইরে নয়। কষ্ট এবং বেদনার সঙ্গে, সেখানেও সুশীল সময় থাকে। কিন্তু সবকিছুর ওপরে কঠিন বেঁচে থাকা, কঠিন সেই বেঁচে থাকার প্রশ্ন।