আগুনডানা মেয়ে (Agundana Meya)
মা যখন টুপ করে মরে গেলো আর কাপড়ের পুটুলিতে পেঁচানো মাংসের দলার মতোন মনুকে রেখে গেলো এইটুকু, তখন থেকেই পাখি জানত, তার জন্ম অন্যের ভার কাঁধে নিয়ে চলবার জন্য। কিন্তু তার ভার বইবার এ জগতে কেউ নেই। এই নিয়ে পাখির যে খুব আক্ষেপ ছিল তাও নয়। বরং এসবে তার অভ্যাসই হয়ে গিয়েছিলো।কতদিন ভাতের হাড়ির শেষ ভাতটুকু বাবা আর মনুকে খাইয়ে...
আগুনডানা মেয়ে (Agundana Meya)
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২৪
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
৩০৪
ISBN
৯৭৮৯৮৪৫০২৮৫৯২
বইয়ের তথ্য
মা যখন টুপ করে মরে গেলো আর কাপড়ের পুটুলিতে পেঁচানো মাংসের দলার মতোন মনুকে রেখে গেলো এইটুকু, তখন থেকেই পাখি জানত, তার জন্ম অন্যের ভার কাঁধে নিয়ে চলবার জন্য। কিন্তু তার ভার বইবার এ জগতে কেউ নেই। এই নিয়ে পাখির যে খুব আক্ষেপ ছিল তাও নয়। বরং এসবে তার অভ্যাসই হয়ে গিয়েছিলো।
কতদিন ভাতের হাড়ির শেষ ভাতটুকু বাবা আর মনুকে খাইয়ে নিজে ঢকঢক করে দু মগ পানি গিলে বিছানায় শুয়ে পড়েছে তার ইয়ত্তা নেই! পাশে থাকা বাবা কিংবা মনু তা কখনো টেরই পায়নি।
অথচ, সেই পাখিই কিনা বশিরকে পেয়ে লতার মতো এলিয়ে যাচ্ছিল। এই ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে এর আগে কখনো পরিচয় ছিল না তার।
কারণ, পাখি জানত- যে মেয়েটি রাস্তা পার হওয়ার সময় শক্ত কারো হাত খোঁজে, বোতলের ছিপি খুলে দেওয়ার জন্য দৃঢ় কোনো আঙুলের সাহায্য চায় কিংবা আলতো অভিমানে কেঁদে বুক ভাসায়, আর দুঃখ পেলেই লুকাতে চায় কারো চওড়া বুকে, লতার মতো এলিয়ে পড়ে পাশে থাকা পুরুষ বৃক্ষে- সে মোটেই তেমন নয়।
দুঃখ ভুলতে কাউকে লাগে না তার। সে নিজেই নিজের আশ্রয়। যতটুকু ওজন তার, তা সে বয়ে নিতে জানে। জানে বাড়তি খানিক কাঁধে তুলে নিতেও।
কারণ, জীবন তাকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জীবন জানত না, সে সেই পুড়ে যাওয়া ছাইয়ের ভেতর থেকে জেগে ওঠা ফিনিক্স পাখি!
হার না মানা: আগুনডানা: মেয়ে।
কতদিন ভাতের হাড়ির শেষ ভাতটুকু বাবা আর মনুকে খাইয়ে নিজে ঢকঢক করে দু মগ পানি গিলে বিছানায় শুয়ে পড়েছে তার ইয়ত্তা নেই! পাশে থাকা বাবা কিংবা মনু তা কখনো টেরই পায়নি।
অথচ, সেই পাখিই কিনা বশিরকে পেয়ে লতার মতো এলিয়ে যাচ্ছিল। এই ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে এর আগে কখনো পরিচয় ছিল না তার।
কারণ, পাখি জানত- যে মেয়েটি রাস্তা পার হওয়ার সময় শক্ত কারো হাত খোঁজে, বোতলের ছিপি খুলে দেওয়ার জন্য দৃঢ় কোনো আঙুলের সাহায্য চায় কিংবা আলতো অভিমানে কেঁদে বুক ভাসায়, আর দুঃখ পেলেই লুকাতে চায় কারো চওড়া বুকে, লতার মতো এলিয়ে পড়ে পাশে থাকা পুরুষ বৃক্ষে- সে মোটেই তেমন নয়।
দুঃখ ভুলতে কাউকে লাগে না তার। সে নিজেই নিজের আশ্রয়। যতটুকু ওজন তার, তা সে বয়ে নিতে জানে। জানে বাড়তি খানিক কাঁধে তুলে নিতেও।
কারণ, জীবন তাকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জীবন জানত না, সে সেই পুড়ে যাওয়া ছাইয়ের ভেতর থেকে জেগে ওঠা ফিনিক্স পাখি!
হার না মানা: আগুনডানা: মেয়ে।