
দরজার ওপাশে হৃদি (Dorojar Opashe Hridi)
বেশ কিছুদিন ধরে সজীবের মন-মর্জি ভালো নেই বলে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলে নি হৃদি। সজীবের আগের আচরণগুলো মনে করবার চেষ্টা করতেই বেশ কিছু আনন্দময় মধুর স্মৃতি মনে পড়ল। তখনো অর্থির জন্ম হয় নি। এক চাঁদভরা জোছনা রাতে ব্যালকনিতে বসে কথা হচ্ছিল। রোমান্টিকভাবে হৃদিকে জড়িয়ে ধরে বসে গল্প করেছিল সজীব। হৃদিই বলেছিল, এই চাঁদনি রাত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বসে কাটাতে...

দরজার ওপাশে হৃদি (Dorojar Opashe Hridi)
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২৫
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
184
ISBN
9789849958185
বইয়ের তথ্য
বেশ কিছুদিন ধরে সজীবের মন-মর্জি ভালো নেই বলে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলে নি হৃদি। সজীবের আগের আচরণগুলো মনে করবার চেষ্টা করতেই বেশ কিছু আনন্দময় মধুর স্মৃতি মনে পড়ল। তখনো অর্থির জন্ম হয় নি। এক চাঁদভরা জোছনা রাতে ব্যালকনিতে বসে কথা হচ্ছিল। রোমান্টিকভাবে হৃদিকে জড়িয়ে ধরে বসে গল্প করেছিল সজীব। হৃদিই বলেছিল, এই চাঁদনি রাত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বসে কাটাতে পারলে খুব মজা হতো।
লাফ দিয়ে উঠেই দাঁড়িয়ে সজীব বলেছিল, শাড়ি পরো। ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি হয়ে নাও। কক্সবাজার যাব। সেবার সত্যি সত্যি সারা রাত গাড়ি ড্রাইভ করে কক্সবাজার চলে গিয়েছিল তারা। আরও কিছু মধুর স্মৃতি মনে পড়ল হৃদির। আবেগঘন হলো মন।
তারপর ড্রেসিংটেবিলের আয়নায় নিজেকে দেখে প্রতিবিম্বের সাথে মনে মনে কথা বলে হৃদি, ‘তুমি একটা নষ্টা মেয়ে। তোমার এই রূপ সৌন্দর্য, এই বুক, এই ঠোঁট, গ্রিবা, নিতম্ব— সর্বোপরি শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যেই রয়েছে তোমার স্বামীর পূর্ণ অধিকার। অথচ তাকে তুমি বঞ্চিত করেছো। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত তোমাকে করতেই হবে। যন্ত্রণাকাতর হৃদির হাত-পা অবশ হয়ে আসে। মাথা ঘুরতে থাকে। চোখ বন্ধ করে হৃদি। আবেশে সজীবকে জড়িয়ে ধরে। স্পষ্ট উচ্চারণে বলে, তোমার কোনো দোষ নেই সজীব। তুমি সভ্য আচরণ করেছো। তোমার মতো ভালো মানুষ হয় না। আমিই পাপী, ক্ষমা দাও সজীব, ক্ষমা দাও।
কিন্তু ক্ষমা কি পেল হৃদি?