শেষের কবিতা
‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথের অনবদ্য সৃষ্টি যার একাধিক ব্যাখ্যা হতে পারে। ব্যাখ্যা যা-ই দেওয়া হোক তাঁর সব উপন্যাসের মধ্যে এর আবেদনই স্থায়ী এবং চিরন্তন বলা যায়। সেই অর্থে এটি ক্লাসিকের পর্যায়ে পড়ে। প্রধান দুটি চরিত্র, অমিত ও লাবণ্যর জীবন প্রেমের বিচিত্র অভিব্যক্ত এই উপন্যাসকে অসাধারণত্বের চরিত্র দান করেছে। এটি আধুনিক জীবনের একটি প্রচণ্ড আবেগের শক্তিশালী রূপায়ণ যেখানে বাস্তবতার পাশাপাশি রোমান্টিকতা সৃষ্টি...
শেষের কবিতা
প্রথম প্রকাশিত
sheser kobita
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
120
ISBN
9789845020435
বইয়ের তথ্য
‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথের অনবদ্য সৃষ্টি যার একাধিক ব্যাখ্যা হতে পারে। ব্যাখ্যা যা-ই দেওয়া হোক তাঁর সব উপন্যাসের মধ্যে এর আবেদনই স্থায়ী এবং চিরন্তন বলা যায়। সেই অর্থে এটি ক্লাসিকের পর্যায়ে পড়ে। প্রধান দুটি চরিত্র, অমিত ও লাবণ্যর জীবন প্রেমের বিচিত্র অভিব্যক্ত এই উপন্যাসকে অসাধারণত্বের চরিত্র দান করেছে। এটি আধুনিক জীবনের একটি প্রচণ্ড আবেগের শক্তিশালী রূপায়ণ যেখানে বাস্তবতার পাশাপাশি রোমান্টিকতা সৃষ্টি করে নিয়েছে। রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় ‘শেষের কবিতা’ সম্বন্ধে লিখেছেন : ‘এ যেন মহাকাব্যের পর লিরিক রচনা। ইহা লিখিতে আরম্ভ করিয়া কবি যেন মনের নিষ্কৃতি ও তৃপ্তি পাইতেছেন।’ প্রকৃতপক্ষে রবীন্দ্রনাথ শেষজীবনে আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানব-মানবীর মধ্যে অন্তরঙ্গতা এবং তাদের প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে যে দার্শনিক ভাবনায় পৌঁছেছিলেন তার প্রকাশের জন্য এই উপন্যাস লেখেন। প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে বিশেষ বক্তব্য রাখা ছাড়াও উপন্যাসটির মাধ্যমে তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের বিরোধীদের সমালোচনারও উত্তর দিয়েছেন। কাহিনীর বর্ণনায় এবং ভাষার ব্যবহারে তিনি যে কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন তার ভিত্তিতে নবীন প্রজন্মের কবি-সাহিত্যিকরা তাঁকে আধুনিক-মনস্ক বলে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তাঁর একজন সমালোচক-ভক্ত কবি-প্রবন্ধকার বুদ্ধদেব বসুও স্বীকার করেছেন যে ‘শেষের কবিতা’ লেখার মধ্য দিয়েই বাংলা আধুনিক গদ্যের যাত্রা শুরু হয়। ‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এটি এমন এক কাহিনী নিয়ে লেখা যার আবেদন চিরন্তন।