মায়াগন্ধা
আনিস মুগ্ধ দৃষ্টিতে শশীর দিকে তাকাল। হাতটা বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছে হলো তার। বলতে ইচ্ছে হলো, ‘শশী, তুমি আমার হাতটা ধরো। আমি তোমাকে শুধু কয়েকটা বিকেল নয়, অজস্র বিকেল দেব। পড়ন্ত দুপুরের পর মায়াগন্ধা বিকেল। সোনারং মধ্যবিকেল। সন্ধ্যার মধুরিমাময় গোধূলি বিকেল। শশী, প্লিজ তুমি আমার হাতটা ধরো!’ দু’জন যুবক-যুবতির প্রেম-ভালোবাসা ও কয়েকটি মায়াগন্ধা বিকেলের গল্প নিয়েই উপন্যাসের কাহিনি এগিয়ে গেছে। উপন্যাসের...
মায়াগন্ধা
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২১
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
192
ISBN
978 984 502 797 7
বইয়ের তথ্য
আনিস মুগ্ধ দৃষ্টিতে শশীর দিকে তাকাল। হাতটা বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছে হলো তার। বলতে ইচ্ছে হলো, ‘শশী, তুমি আমার হাতটা ধরো। আমি তোমাকে শুধু কয়েকটা বিকেল নয়, অজস্র বিকেল দেব। পড়ন্ত দুপুরের পর মায়াগন্ধা বিকেল। সোনারং মধ্যবিকেল। সন্ধ্যার মধুরিমাময় গোধূলি বিকেল। শশী, প্লিজ তুমি আমার হাতটা ধরো!’ দু’জন যুবক-যুবতির প্রেম-ভালোবাসা ও কয়েকটি মায়াগন্ধা বিকেলের গল্প নিয়েই উপন্যাসের কাহিনি এগিয়ে গেছে। উপন্যাসের একস্থানে এসে মায়াগন্ধা বিকেলের গল্প ছাপিয়ে গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে বিপন্ন মুক্তিযোদ্ধা বদির আহমেদ মাস্টার ও মধুরিমা সাহার কাহিনি। এদিকে শশীর আরেক নাম যে মধুরিমা, তা আনিস আবিষ্কার করে দু’বছর পর। অতীত ও বর্তমানের দুই মধুরিমা, একইরকম অবস্থান। কিন্তু মাঝখানে ব্যবধান পঞ্চাশ বছরের। একদিকে বদির মাস্টার ও অন্যদিকে আনিস। বদির মাস্টার যখন বলে ওঠেন, ‘আনিস, তুই আমার মতো ভুল করিস নে!’ কথাটা সত্যি ভাবায় তাকে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ ও বিপন্ন মানুষের আর্তিও এই উপন্যাসে সবিস্তার ডালপালা মেলেছে।