Home মরণোত্তম
25%

মরণোত্তম

By সাদাত হোসাইন

প্রেসক্লাবের সামনের ভিড় বাড়তে বাড়তে চলে এসেছে রাস্তা অবধি। অফিসফেরত বাসযাত্রীদের বাসগুলাে আটকে পড়েছে। ফলে রাস্তার জ্যাম ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কৌতুহলী মানুষ তাদের জরুরি কাজ ফেলে ভিড়ের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু পেছন থেকে সামনের ঘটনার কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ফলে কেউ কেউ উঠে গেছে। ওভারব্রিজের ওপরে। দু-একজন তরতর করে রেইনট্রি গাছের ডাল বেয়ে উঠে গেছে। আশপাশের বাসা, অফিসের...

Tk 300.00 Tk 225.00
40
People are viewing this right now
মরণোত্তম

মরণোত্তম

Tk 300.00 Tk 225.00

প্রথম প্রকাশিত

একুশে বইমেলা ২০২০

পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য

৯৬

ISBN

৯৭৮৯৮৪৫০২৬০৬২

বইয়ের তথ্য

প্রেসক্লাবের সামনের ভিড় বাড়তে বাড়তে চলে এসেছে রাস্তা অবধি। অফিসফেরত বাসযাত্রীদের বাসগুলাে আটকে পড়েছে। ফলে রাস্তার জ্যাম ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কৌতুহলী মানুষ তাদের জরুরি কাজ ফেলে ভিড়ের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু পেছন থেকে সামনের ঘটনার কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ফলে কেউ কেউ উঠে গেছে। ওভারব্রিজের ওপরে। দু-একজন তরতর করে রেইনট্রি গাছের ডাল বেয়ে উঠে গেছে। আশপাশের বাসা, অফিসের ছাদেও উৎসুক। মানুষের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনা কী ? ঘটনা হলাে ভিড়ের মাঝখানে দাঁড়ানাে শীর্ণকায় শরীরের মানুষটা। তার নাম আজিজ মাস্টার। আজিজ মাস্টার গায়ে কেরােসিন ঢেলে দাঁড়িয়ে আছেন প্রেসক্লাবের সামনে। তার বাঁ হাতে ধরা একখানা মশাল। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সেই মশাল থেকে গায়ে আগুন ধরাবেন। কিন্তু একটু দেরি করছেন। কারণ তার গলায় একখানা ছােট ব্ল্যাকবাের্ড ঝােলানাে। সেই ব্ল্যাকবাের্ডে চক ঘষে স্পষ্ট বড় বড় অক্ষরে লেখা, ‘আমিই কোহিনুরের বাবা...'

Customer Reviews

Based on 1 review
100%
(1)
0%
(0)
0%
(0)
0%
(0)
0%
(0)
মোমিন রহমান
সাদাত হোসাইনের ' মরণোত্তম'-এ সমাজেরই ছবি

সম্প্রতি আমি এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইনের উপন্যাস 'মরণোত্তম' পড়েছি। পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
শুরুতে বইটির নামটি আমাকে আকর্ষণ করেছিল। মনের মাঝে ভিড় করেছিল রবীন্দ্রনাথের কবিতার পঙক্তি:'মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান'। অবশ্য কবিতার মতো রোমান্টিক নয়, সাদাত এখানে বতর্মান বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন, যেখানে গ্রামের আদর্শবান শিক্ষক তাঁর স্কুলকে এমপিওভুক্ত করতে না পেরে হতাশায় ভোগে, তার স্কুলের এক ছাত্রী, কোহিনুর, তাকে বখাটেরা উত্যক্ত করে, তার বিচার চাইতে গিয়ে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। মেয়েটি আত্মহতঢা করে। ধর্ষক উত্যক্তকারীর বাবা ও চেয়ারম্যান। উপন্যাসে এই ধর্ষকের সাজা হয়। কিস্তু কাঠখড় পোড়ানোর পরে। আদর্শবান শিক্ষকটির মর্মান্তিক মৃত্যুর বিনিময়ে। তখনই রাষ্ট্রযন্ত্র সচল হয়। এ তো নির্মম সত্য। প্রতিদিনের জীবনেই প্রতিফলিত।
উপন্যাসটিতে কেউ কেউ হয়তো মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের জীবনের ছায়া খুঁজে পাবে। কিন্তু তা ছায়াই। সাদাত হোসাইন তাঁর অননুকরণীয় ভাষা ও শৈলীতে অন্য ধরনের উপাখ্যান তুলে ধরেছেন, যা একই সঙ্গে হৃদয়স্পর্শী ও ভীষণ বাস্তব। নান্দনিক। আর হ্যাঁ, উপন্যাসটি পাঠের পর পাঠকেরা বিষণ্ন বোধ করবে, নিজেদের অপরাধী ভাববে। কেননা এদেশে, বাংলাদেশে, প্রতিদিনই হয়তো কোহিনুরদের মতো কেউ অকালে ঝরে যাচ্ছে।