
সোমেশ্বর মুস্তফীর পৃথিবী জীবনানন্দ দাশ (Someswar Mustafir Prithibi Jibananda Das)
বিংশ শতাব্দীতে যে মুষ্টিমেয় সাহিত্যিকের হাতে বাংলা কাব্য, ছোটগল্প, উপন্যাস এবং সাহিত্যচিন্তা সমৃদ্ধ হয়েছে জীবনানন্দ দাশ তাদের মধ্যে সর্বাগ্রগণ্যদের একজন। তিনি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠতম আধুনিক কবি। তাঁর কাব্যভাস্কর্য আমাদের কাছে পরম বিস্ময়। যদি এক শত বা ততোধিক পঙ্ক্তির কবিতাকে দীর্ঘ কবিতা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তবে বলতে হবে কবি জীবনানন্দ দাশ অনেক দীর্ঘ কবিতা লিখেছেন। তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত বিখ্যাত কবিতা ‘অবসরের...

সোমেশ্বর মুস্তফীর পৃথিবী জীবনানন্দ দাশ (Someswar Mustafir Prithibi Jibananda Das)
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২৫
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
96
ISBN
978 984 529 009 8
বইয়ের তথ্য
বিংশ শতাব্দীতে যে মুষ্টিমেয় সাহিত্যিকের হাতে বাংলা কাব্য, ছোটগল্প, উপন্যাস এবং সাহিত্যচিন্তা সমৃদ্ধ হয়েছে জীবনানন্দ দাশ তাদের মধ্যে সর্বাগ্রগণ্যদের একজন। তিনি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠতম আধুনিক কবি। তাঁর কাব্যভাস্কর্য আমাদের কাছে পরম বিস্ময়।
যদি এক শত বা ততোধিক পঙ্ক্তির কবিতাকে দীর্ঘ কবিতা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তবে বলতে হবে কবি জীবনানন্দ দাশ অনেক দীর্ঘ কবিতা লিখেছেন। তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত বিখ্যাত কবিতা ‘অবসরের গান’-এর পঙ্ক্তি সংখ্যা ১৩৯। ‘১৯৪৬-৪৭’ জীবনানন্দের আরেকটি বহুলপঠিত দীর্ঘ কবিতা। দীর্ঘ কবিতাগুলিতে জীবনানন্দ তাঁর কব্জির জোর প্রমাণ ক’রে ছেড়েছেন।
১৯৫৪ সালে কবির মৃত্যুর পর অন্তত ৫৪টি কবিতা লেখার খাতায় তাঁর শত শত অপ্রকাশিত কবিতা আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৬টি কবিতাকে ‘দীর্ঘ কবিতা’ হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। জীবনানন্দের দীর্ঘ কবিতার বিষয়, কাব্যভাষা ও স্থাপত্য লক্ষ্য করবার মতো। যে উদ্যম ও শক্তিমত্তার প্রশ্রয়ে তিনি এ কবিতাগুলো রচনা করেছিলেন তার কথা ভেবে বিস্মিত হতে হয়।
যে অবিরল চিন্তাস্রোত এই কবিতাগুলোতে স্থান ক’রে নিয়েছে তার পর্যায়ক্রমিক বিষয়বস্তু ও বৈচিত্র্যের কথা ভেবে অবিশ^াসে স্থির হয়ে যেতে হয়। বিশ^সাহিত্যে এরকম কবি বিরল যিনি এতগুলো সার্থক ‘দীর্ঘ কবিতা’ রচনা ক’রে গেছেন।
জীবনানন্দ দাশের ১৮ সংখ্যক কবিতার খাতায় রচিত ‘সোমেশ্বর মুস্তফীর পৃথিবী’র পঙ্ক্তি সংখ্যা ৩৯২। এটি তাঁর দীর্ঘতম কবিতা। কবিতাটি এই প্রথম স্বনামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলো। কাফকার গদ্যে যেমন ‘স্ট্রিম অফ কনশাসনেস’ প্রত্যক্ষ হয়, বলা চলে, জীবনানন্দের কবিতায় প্রত্যক্ষ হয় ‘স্ট্রিম অফ ইমেজেরি’। অধারাবাহিক দৃশ্যময়তার মধ্য থেকে ছন্দ, শব্দ এবং অসংখ্য উল্লেখের (রেফারেন্স) সমীকরণ মিলিয়ে অর্থের ঐক্যতান আবিষ্কার দুরূহ, কিন্তু একইসঙ্গে তীব্র সুখময় অভিজ্ঞতা।