প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে

প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে-র আগে মারুফুল ইসলাম লিখেছেন নতুন করে পাব বলে এবং সাঁইজি। লালন যদি হন আমাদের লোকপ্রজ্ঞার, লোকইতিহাসের কবি (যারা মুখে মুখে গান সাজাতেন, অথবা পুঁথিতে লিখতেন, গাইতেন, তাঁদের মানুষ কবি বা কবিয়াল নামেই জানত, গায়কের পাশাপাশি), রবীন্দ্রনাথ আমাদের লিখিত সাহিত্যের রোমান্টিক চেতনার এবং আধুনিকতার আবির্ভাব ঘোষণার কবি, বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনীতি এবং ইতিহাসের কবি। তিনটি বইয়ের অনুভব, মেজাজ, প্রকাশ, প্রকাশের শৈলী তিন রকমের। প্রাণের মানুষ-এ এই তিনটি ধারা একটি বিন্দুতে এসে মিশেছে। এর একটি হচ্ছে আমাদের চিরায়ত লোকজীবনের সুর, অন্য একটি ভাষা, দেশ ও এর মানুষকে নিয়ে আমাদের আত্মদর্শী ভাবনা, আমাদের রোমান্টিকতা, এবং তৃতীয়টি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসের আগুন-ঝরানো ঝংকার, অগ্নিবীণা। বঙ্গবন্ধুকে এজন্য অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছেন মারুফ। অভিবাদন জানিয়েছেন একজন মানুষ হিসেবে, যার মনোজগৎ তিনি গড়ে দিয়েছেন, এবং একজন কবি হিসেবে যার লেখার প্রেরণা হচ্ছে তাঁর জীবন, তাঁর সংগ্রাম, তাঁর অর্জন, এবং তাঁর রেখে যাওয়া কবিতা, যার নাম বাংলাদেশ।
-সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম