নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা ও অন্যান্য
“জীবনের শেষ বিকেলে অকস্মাৎ ‘কুড়িয়ে পাওয়া ধন’ আমার ভাইটির একটি একটি করে আঙুল টিপে দিতে থাকি আমি। এই বাক্যটা লিখতে গিয়ে ওর সেই হাতের উষ্ণতা এখনো যেন টের পাই। চোখের সামনে ভাসে, একটি আঙুল শেষ হতে না হতেই আরেকটা বাড়িয়ে দিচ্ছে। হাত শেষ হয়ে গেলে খাটের ওপর একটু নাড়াচাড়া করে এগিয়ে দেয় পা।” এই কটি কথা মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে...
নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা ও অন্যান্য
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০১৩
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
88
ISBN
9789845020855
বইয়ের তথ্য
“জীবনের শেষ বিকেলে অকস্মাৎ ‘কুড়িয়ে পাওয়া ধন’ আমার ভাইটির একটি একটি করে আঙুল টিপে দিতে থাকি আমি। এই বাক্যটা লিখতে গিয়ে ওর সেই হাতের উষ্ণতা এখনো যেন টের পাই। চোখের সামনে ভাসে, একটি আঙুল শেষ হতে না হতেই আরেকটা বাড়িয়ে দিচ্ছে। হাত শেষ হয়ে গেলে খাটের ওপর একটু নাড়াচাড়া করে এগিয়ে দেয় পা।” এই কটি কথা মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসার সময়ে তাঁর সঙ্গে পূরবী বসুর কী গভীর হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার প্রথম দিন থেকে বেলভিউ হাসপাতালের শেষ দিনটি পর্যন্ত পূরবী বসু প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে তাঁর সংস্পর্শে ছিলেন। ঐ সময়ে তাঁর চিকিৎসা ও অসুস্থতা সংক্রান্ত সমস্ত কথা, সকল শারীরিক জটিলতার খুঁটিনাটি পূরবী বসুর মতো প্রায় আর কারোরই জানা নেই। মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে এক সময়ে কর্মরত চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষক পূরবী বসু একজন পাঠক-নন্দিত প্রথিতযশা গল্পকারও। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রবাদপুরুষ হুমায়ূন আহমেদের জীবনের শেষ ঐ সব দিনের কথাÑতাঁর অসুস্থতা, যন্ত্রণা, আনন্দ আর স্বপ্নের কথা পূরবী বসুর অনবদ্য রচনায় পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে যাবে, তাকে কাঁদাবে, আমরা নিশ্চিত।