নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ
বাংলা কথাসাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদ একজন প্রবাদপুরুষ। জীবন্ত কিংবদন্তি। চার দশক ধরে লিখছেন অবিরাম। উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণ উপাখ্যান, আত্মজৈবনিক, রম্যরচনা কিংবা শিশুতোষ রচনাÑসৃষ্টিশীলতার যে মাধ্যমটিতেই হাত দিয়েছেন, অন্য এক আলোর দ্যুতিতে তা উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। পাঠকরা তাঁকে গ্রহণ করেছেন গভীর ভালোবাসায়। পাঠকপ্রিয়তায় সমকালীন বাংলা সাহিত্যে তাঁর মতো তুঙ্গস্পর্শী কাউকে আমরা লক্ষ করি না। কৈশোরে ‘জোছনার ফুল’-এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ এই শব্দশিল্পীর দেহে...
নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০১২
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
96
ISBN
978 984 502 058 9
বইয়ের তথ্য
বাংলা কথাসাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদ একজন প্রবাদপুরুষ। জীবন্ত কিংবদন্তি। চার দশক ধরে লিখছেন অবিরাম। উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণ উপাখ্যান, আত্মজৈবনিক, রম্যরচনা কিংবা শিশুতোষ রচনাÑসৃষ্টিশীলতার যে মাধ্যমটিতেই হাত দিয়েছেন, অন্য এক আলোর দ্যুতিতে তা উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। পাঠকরা তাঁকে গ্রহণ করেছেন গভীর ভালোবাসায়। পাঠকপ্রিয়তায় সমকালীন বাংলা সাহিত্যে তাঁর মতো তুঙ্গস্পর্শী কাউকে আমরা লক্ষ করি না। কৈশোরে ‘জোছনার ফুল’-এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ এই শব্দশিল্পীর দেহে বাসা বেঁধেছে কর্কট রোগ। প্রকৃতি আর জীবনের সৌন্দর্য সন্ধানে যিনি নিবেদিত, কর্কট রোগের কী সাধ্য তাঁকে হার মানায়! নিউইয়র্কে তাঁর চিকিৎসা চলছে। একই সঙ্গে চলছে তাঁর লেখালেখি। এই গ্রন্থভুক্ত সব লেখাই তিনি নিউইয়র্কে বসে লিখেছেন। একই সময়ে চলেছে তাঁর কেমোথেরাপি। তিনি বলেছেন, লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থেকে কেমোথেরাপি নামক চিকিৎসার যন্ত্রণা ভোলার চেষ্টা করেছেন। তা ঠিক। কিন্তু এও তো ঠিক যে, একজন মহান লেখকের কাছে পরম আরাধ্য হচ্ছে তাঁর লেখালেখি। জীবনের কঠিনতম সংকটেও তাঁর কলমকে সচল রাখা। আমাদের প্রিয় লেখকের ক্ষেত্রেও আমরা অবাক বিস্ময়ে তা লক্ষ করি। গ্রন্থভুক্ত লেখাগুলো চরিত্রবিচারে ভিন্ন ভিন্ন রকমের হলেও একটি মূল সুর লক্ষণীয়। তা হলো জীবন আর সৌন্দর্যের জয়গান। নানারকম লেখার সঙ্গে এই গ্রন্থে তিনটি গল্প যুক্ত হয়েছে। গল্প তিনটিও নিউইয়র্কে বসে লেখা।