
বেচু সরদারের ট্রুথ কমিশন (Bechu sordarer truth commission)
মির্জা মতিন চৌধুরী নামে ন্যায়পরায়ণ এক জজ ছিলেন। এজলাসে বসে যে-কোনো মামলার রায় লেখার সময় স্মরণ করতেন বিশ্বজগতের একমাত্র প্রতিপালককে, যিনিই বিচার দিনের মালিক। বিশেষ করে খুন-খারাপির মতো স্পর্শকাতর মামলাগুলোর রায় দেওয়ার মুহূর্তে বারবার স¥রণ করতেন নিখিল জাহানের সুমহান ন্যায়বিচারক, দণ্ডমুণ্ডের সেই একমাত্র কর্তাকে যার কাঠগড়ায় তাকেও যে একদিন দাঁড়াতেই হবে।মির্জা মতিন চৌধুরী নিজের কর্মঘণ্টা আজ ইতি টানলেন একটি হত্যা...

বেচু সরদারের ট্রুথ কমিশন (Bechu sordarer truth commission)
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২৫
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
128
ISBN
978 984 99872 3 9
বইয়ের তথ্য
মির্জা মতিন চৌধুরী নামে ন্যায়পরায়ণ এক জজ ছিলেন। এজলাসে বসে যে-কোনো মামলার রায় লেখার সময় স্মরণ করতেন বিশ্বজগতের একমাত্র প্রতিপালককে, যিনিই বিচার দিনের মালিক। বিশেষ করে খুন-খারাপির মতো স্পর্শকাতর মামলাগুলোর রায় দেওয়ার মুহূর্তে বারবার স¥রণ করতেন নিখিল জাহানের সুমহান ন্যায়বিচারক, দণ্ডমুণ্ডের সেই একমাত্র কর্তাকে যার কাঠগড়ায় তাকেও যে একদিন দাঁড়াতেই হবে।
মির্জা মতিন চৌধুরী নিজের কর্মঘণ্টা আজ ইতি টানলেন একটি হত্যা মামলার রায় দেওয়ার মাধ্যমে। ৩০২ ধারায় আসামি মকবুলকে দিলেন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ। কিন্তু এই মামলার রায় লিখতে তার কলমটা যেন চলতে চাচ্ছিল না, ভেতর থেকে কে যেন ধাক্কা দিচ্ছিল বারবার। রায় শুনে আসামির হাউমাউ করে কান্না বুকের মধ্যে ঝড় তুলেছিল জজ সাহেবের। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করছিলেন, এই গোবেচারা কিসিমের আবেগি মানুষটা কি আসলেই খুনের সঙ্গে জড়িত ?