চিঠি দিয়ো
প্রিয় বীণা, শুভেচ্ছা নিয়ো। তোমার চিঠি পড়লেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। এক মরমী গল্পের পটভূমি মনের মধ্যে খাবি খাচ্ছে। আর সেই গল্পের শেষ প্রান্তে আমি অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছি। তুমি ভেবো না বীণা, আর কোনো কষ্টকে তোমাকে ছুঁতে দেব না। জানালার অদূরেই পারুল ফুল গাছ। হালকা বেগুনি রঙের ভেজা ফুলগুলো দেখতে কী যে সুন্দর! ভোর আসন্ন। বাতাসে তিরতির করে কাঁপছে...
চিঠি দিয়ো
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২৪
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
128
ISBN
৯৭৮ ৯৮৪ ৯৮৭০৪ ২ ৫
বইয়ের তথ্য
প্রিয় বীণা,
শুভেচ্ছা নিয়ো। তোমার চিঠি পড়লেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। এক মরমী গল্পের পটভূমি মনের মধ্যে খাবি খাচ্ছে। আর সেই গল্পের শেষ প্রান্তে আমি অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছি। তুমি ভেবো না বীণা, আর
কোনো কষ্টকে তোমাকে ছুঁতে দেব না।
জানালার অদূরেই পারুল ফুল গাছ। হালকা বেগুনি রঙের ভেজা ফুলগুলো দেখতে কী যে সুন্দর! ভোর আসন্ন। বাতাসে তিরতির করে কাঁপছে পাতাগুলো। আধো ঘুমে চোখ মেলতেই মনে হলো, তুমি আমার শিয়রে দাঁড়ানো। অগোছালো চুল, পাণ্ডুর মুখ। তোমাকে ভীষণ অবসন্ন এক পথিকের মতো লাগছিল। হয়তো, আমার অবচেতন মনের ভাবনাগুলোই স্বপ্ন হয়ে এসেছে। তোমার নাম ধরে বেশ ক’বার ডাকলাম। তুমি স্থির দৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলে। তারপর ধীরে ধীরে আমার রুম থেকে বের হয়ে প্যাসেজ ধরে সোজা সিঁড়ির কাছে চলে গেলে।
অন্ধকার হাতড়াতে হাতড়াতে তোমার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে আমি তোমার পিছু নিলাম। তুমি ফিরেও তাকালে না। তরতর করে নিচে নেমে গিয়ে বাগানের ভেতর মিলিয়ে গেলে। ঘুম ভাঙতেই দেখি, মুখের ওপর ভোরের নরম রোদ। গলা শুকিয়ে গেছে। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে নিচে নামতে নামতে এদিক-সেদিক তাকাচ্ছিলাম। বাগানের ভেতরের ইটের লাল রাস্তা ধরে হেঁটে যেতে যেতে তোমার পায়ের ছাপ খুঁজছিলাম। মনে হলো কোথাও তুমি আছ। তুমি রোদের মতো ভালো থেকো, বীণা।
সুদীপ্ত রয়