Home ওবায়েদ উল হক স্মারকগ্রন্থ

ওবায়েদ উল হক স্মারকগ্রন্থ

By সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদিত

"চলচ্চিত্রকার, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ওবায়েদ উল হক ব্যক্তিগত আচার-আচরণে ছিলেন অত্যন্ত শান্ত, ভদ্র, নম্র, এবং বিনয়ী; কিন্তু পাশাপাশি ছিলেন দুঃসাহসীও। নিজের নাম পাল্টে ‘হিমাদ্রী চৌধুরী’ ছদ্মনাম গ্রহণ করে তিনি দুঃসাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন। চ্যালেঞ্জ গ্রহণে কখনো দ্বিধা করেন নি। তাঁর জীবনে অসংখ্য ঘটনায় এর প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। তেতাল্লিশের মন্বন্তরের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় তিনি কাতর হয়েছিলেন, কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশে লিখেছিলেন ‘দুঃখে যাদের জীবন গড়া’...

Sale price Tk 800.00
40
People are viewing this right now
ওবায়েদ উল হক স্মারকগ্রন্থ

ওবায়েদ উল হক স্মারকগ্রন্থ

Tk 800.00

প্রথম প্রকাশিত

একুশে বইমেলা ২০২৩

ISBN

978 984 502 847 9

বইয়ের তথ্য

"চলচ্চিত্রকার, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ওবায়েদ উল হক ব্যক্তিগত আচার-আচরণে ছিলেন অত্যন্ত শান্ত, ভদ্র, নম্র, এবং বিনয়ী; কিন্তু পাশাপাশি ছিলেন দুঃসাহসীও। নিজের নাম পাল্টে ‘হিমাদ্রী চৌধুরী’ ছদ্মনাম গ্রহণ করে তিনি দুঃসাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন। চ্যালেঞ্জ গ্রহণে কখনো দ্বিধা করেন নি। তাঁর জীবনে অসংখ্য ঘটনায় এর প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। তেতাল্লিশের মন্বন্তরের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় তিনি কাতর হয়েছিলেন, কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশে লিখেছিলেন ‘দুঃখে যাদের জীবন গড়া’ গল্পটি। প্রকাশিত ওই গল্পটির চিত্রনাট্য লিখে চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্যোগী হন ওবায়েদ উল হক। সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ শেষ করেন। কিন্তু ছবির মুক্তিতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তার সম্প্রদায়গত পরিচয়-জ্ঞাপক নামটি। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তিনি তাঁর নিজের নামটি পরিবর্তন করে ছদ্মনাম নিয়ে ছবি মুক্তির বাধা অতিক্রম করেন। কলকাতা ও ঢাকার প্রসিদ্ধ প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পায় এবং সুধীজনের প্রশংসা লাভ করে। অখণ্ড বাংলার রাজধানী কলকাতায় শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাঙালি মুসলমানেরা ছিল ব্রাত্য। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তাই নিজ নামটি ব্যবহার করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় নি। দুঃখজনক হচ্ছে তাঁর অপরিসীম শ্রমলব্ধ চলচ্চিত্রটির কোনো প্রিন্ট কলকাতার আর্কাইভে সংরক্ষিত রাখা পর্যন্ত হয় নি। অতীতের নির্বাক ও সবাক সকল চলচ্চিত্র সংরক্ষিত থাকলেও, তাঁর ছবিটি আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। সাতচল্লিশের দেশভাগে তাঁকে চলে আসতে হয় ঢাকায়। চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত না-হয়ে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে কর্মরত ওবায়েদ উল হক স্বাধীনতার পর পত্রিকার মালিকের পাকিস্তানে পালিয়ে থাকার কারণে পত্রিকার নাম পরিবর্তন করে পরিত্যক্ত পত্রিকাটির সম্পাদক রূপে পুরো দায়িত্ব নিয়ে পত্রিকা প্রকাশ করেন। তাঁর কর্মময় জীবনজুড়ে কেবল দুঃসাহসী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ নয়, কোনোরূপ সময় অপচয় না-করে সর্বক্ষণ সৃষ্টি ও সৃজনশীল কাজে ব্যাপৃত থেকেছেন। সাহিত্যের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। মনে-প্রাণে তিনি ছিলেন নির্ভেজাল বাঙালি। জাতির সাংস্কৃতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত উজ্জ্বল। তাঁর স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষার কেন্দ্রে ছিল অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। ওই লক্ষ্যে তিনি ছিলেন অবিচল। অগণিত মানুষকে তিনি যেমন অনুপ্রাণিত করেছেন, তেমনি করেছেন সহযোগিতাও। প্রভাব রেখে গেছেন চলচ্চিত্র নির্মাণে, সাংবাদিকতায় এবং সাহিত্যচর্চায়। স্মারকগ্রন্থের লেখাগুলোতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। লেখকেরা নিজ নিজ অভিজ্ঞতায় লিখেছেন। প্রত্যেকের লেখাই স্বতন্ত্র এবং প্রাঞ্জল। তাঁর অবদানকে তুলে ধরা জরুরি ছিল। বিলম্বে হলেও স্মারকগ্রন্থটি পাঠকদের আন্দোলিত করবে বলেই মনে করি।"

Customer Reviews

Be the first to write a review
0%
(0)
0%
(0)
0%
(0)
0%
(0)
0%
(0)