আসামি সময়
ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর আলমের একশত গদ্য কবিতার সংকলন আসামি সময় জীবননাট্যের একশত খণ্ডচিত্র। আসামি সময় কবিতায় কবি নিজে মনোলগের মাধ্যমে কথা বলেন সময়ের সাথে, অতীতের প্রবঞ্চনার সাথে, অকাল পরিণতির সাথে আর অদেখা ভবিষ্যতের সাথে। ‘জীবনকাব্য’ কবিতা কবিমনের কবিতার প্রতি আত্মিক সম্পর্কের ভিতে লেখা। ‘রুদ্ধদ্বার’, ‘অস্তিত্বের শূন্যতা’, ‘আঁধারের চিত্রপট’, ‘আকাশের কান্না’, ‘জীবনের নাভিশ্বাস’, ‘সম্পর্কের শেষ নিঃশ্বাস’, ‘বিষণ্নতা’—এগুলো জীবনের নঞর্থক সুরে লেখা।...
আসামি সময়
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২২
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
112
ISBN
978 984 502 887 5
বইয়ের তথ্য
ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর আলমের একশত গদ্য কবিতার সংকলন আসামি সময় জীবননাট্যের একশত খণ্ডচিত্র।
আসামি সময় কবিতায় কবি নিজে মনোলগের মাধ্যমে কথা বলেন সময়ের সাথে, অতীতের প্রবঞ্চনার সাথে, অকাল পরিণতির সাথে আর অদেখা ভবিষ্যতের সাথে। ‘জীবনকাব্য’ কবিতা কবিমনের কবিতার প্রতি আত্মিক সম্পর্কের ভিতে লেখা। ‘রুদ্ধদ্বার’, ‘অস্তিত্বের শূন্যতা’, ‘আঁধারের চিত্রপট’, ‘আকাশের কান্না’, ‘জীবনের নাভিশ্বাস’, ‘সম্পর্কের শেষ নিঃশ্বাস’, ‘বিষণ্নতা’—এগুলো জীবনের নঞর্থক সুরে লেখা। অন্যদিকে ‘অনুভবে সুখ’, ‘অমৃত সুখ’, ‘ফেরাবো তোমায়’, ‘মনের ঐকতান’, ‘মনের জমিন’—এগুলো আশাজাগানিয়া কবিতা।
এখানে প্রতিটি কবিতা এক একটি আটপৌরে নাগরিকের ‘জীবনের কবিতা’। এখানে ‘ভালোবাসার ফেরিওয়ালা’ ফেরি করে বেড়ায় ‘টুকরো টুকরো ভালোবাসা’। আবার কখনো ‘অর্বাচীন রাহুর গ্রাসে নষ্ট হৃদয়’ ‘অতন্দ্র নিশীথ’ ‘একাকিনী’ পুড়ে মরে ‘ঘরকন্নার স্বপ্ন’ ভেঙে যাওয়ার ‘মনের আগুন’-এ। এখানে কখনো কবি ‘আত্মসমর্পণ’ করে ‘ইচ্ছের ইচ্ছে’র কাছে, আবার কখনো সেই ‘ইচ্ছের স্বাধীনতা’য় ‘জীবনের ভেলা’ ভেসে চলে নতুন কোনো অচেনা এক ‘জীবনের গন্তব্য’ পানে। এখানে ‘বিষণ্ন শব্দের ভুলেভরা কষ্টরা’ ‘ভালোবাসার ব্যবচ্ছেদ’ যন্ত্রণায় কাতরিয়ে মরে সাক্ষী হয় ‘সম্পর্কের শেষ নিঃশ্বাস’-এর আর মনের ‘আকাশের কান্না’র ‘ঝড়’ ভাসিয়ে নিয়ে যায় ‘ঘরকন্নার স্বপ্ন’। এখানে ‘অনিয়মের নিয়ম’ বাড়াতে থাকে ‘জীবনের নাভিশ্বাস’। তবুও ‘ক্ষণিক সাথে থাকা’র সময়ের ‘টুকরো টুকরো ভালোবাসা’র ‘অব্যক্ত গল্প’ আর ‘প্রণয়গাঁথা’য় লেখা হতে থাকে ‘প্রভাতী কাব্যের পরের কাব্য’। এখানে ‘কবি ও কবিতা’ ‘মনের ঐকতান’-এ এক সুরে কথা বলে, এক সুরে গায় আর ‘জীবনের খোলস’ ছেড়ে বাইরে এসে লিখে যায় পোড়-খাওয়া জীবনের আসল ‘জীবনকাব্য’। কাব্যের গল্পগুলো তাই পাঠকের কাছে পড়ে মনে হবে তাদের নিজেদেরই জীবনের গল্প, মনের গহন কোণে লুকোনো ‘নিজস্ব এক আকাশের গল্প’।