সাম্যসাথী ভৌমিক
সাহিত্যের সবগুলো শাখার মধ্যে কবিতা সর্বাপেক্ষা পরিশীলিত। একজন কবি কতটা শক্তিশালী তা বোঝা যায় তাঁর কবিতার মিতকথনে। কবি সাম্যসাথী ভৌমিক কবিতার মিতকথনে প্রচণ্ড বিশ্বাসী, এই দিকটাই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। মেদবহুল শব্দগুচ্ছ বর্জন, নান্দনিক শব্দগঠন, পরিমিত কাব্যালঙ্কার, বৈচিত্র্যময় ভাষাশৈলী, রূপক ও উপমা ব্যবহার করে অনুভূতি প্রকাশের বিষয়টি তাঁকে করে তুলেছে অনন্য। রসকষহীন, শুষ্কং-কাষ্ঠং শব্দ ব্যবহার করে কবিতাকে অযথা দুর্বোধ্য না করে কীভাবে কবিতাকে সুখপাঠ্য করা যায় এটাই যেন কবি সাম্যসাথী ভৌমিকের মূল ব্রত। স্বদেশ, সমাজ-সমকাল, নির্জনতা, মুগ্ধতা, দেশপ্রেম আর একাকিত্বকে উপজীব্য করে লেখা শাণিত অস্ত্রের মতো কবিতাগুলো কবি সাম্যসাথী ভৌমিককে পাঠকমহলে করে তুলেছে সমাদৃত। কবি সাম্যসাথী ভৌমিকের জন্ম নাটোর জেলায়। ছোটবেলা থেকেই তাঁর সাহিত্যচর্চার প্রতি গভীর অনুরাগ, তা আরও বেগবান হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নের সুবাদে। সাহিত্যচর্চার অংশ হিসেবে ২০১০ সালে শিল্পকলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত ‘বাউল সঙ্গীত’ গ্রন্থে স্থান পায় তাঁর ইংরেজিতে অনুবাদ করা লালনের ২৫টি গান। এরপর ২০২১ এবং ২০২২ সালের অমর একুশে বইমেলায় যথাক্রমে প্রকাশিত হয় ‘সুপ্রভাত, জীবিত লোক!’ এবং ‘আমরা সর্বনাম’ নামের দুটি একক কাব্যগ্রন্থ। কাব্যগ্রন্থদ্বয় পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। কবি সাম্যসাথী ভৌমিক বর্তমানে উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী কলেজে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত।