জামাল হোসেন

জামাল হোসেন

আশৈশব অভিঘাত ও অভিজ্ঞতার আলোকচ্ছটা যখন কাব্যশরীরে প্রতিফলিত হয়, নিখাদ প্রেম ও প্রকৃতি, দ্রোহ ও দেশপ্রেম, স্মৃতি, সমকাল ও আন্তর্জাতিকতা
যখন নিছক আত্মকথন নয়, অনবদ্য নিজস্বতায় স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির দ্যোতনা সৃষ্টি করে, তখন যে-কোনো সাহিত্যরসিক অনায়াসে বুঝে নেন, কোথায় এই কবির ঘর-বসতি। জামাল হোসেন একাধারে কবি ও চিত্রশিল্পী। পেশায় কূটনীতিক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ— ‘বকপক্ষী ও সারমেয় ভ্রাতৃত্রয়’ (২০১৭), ‘প্রেমময় পৃথিবীর জন্য’ (২০১৮), ‘প্রণতি গ্রহণ করো’ (২০২২), ‘নীল লেফাফার চিঠি’ (২০২২)। তাঁর ‘বকপক্ষী ও সারমেয় ভ্রাতৃত্রয়’ কাব্যগ্রন্থ অসমিয়া ভাষায়
অনূদিত হয়েছে।
জন্ম ১৯৭৩। গোপালগঞ্জের শুক্তাইল গ্রামে। কর্ম ও জীবনসূত্রে বিচরণ করেছেন নানা দেশে, নানা শহরে। স্মৃতির ক্যানভাসে অগণন ছবি। তবে যে ছবি নিরন্তর ভিড় করে কবির মননে তার নাম নিসর্গ বাংলাদেশ আর মধুমতীর স্নিগ্ধ জলধারায় স্নাত এক রমণীয় ভূখণ্ড। চিরকালীন বাংলার মায়াবী প্রতিচ্ছবি। এই ছবি তাঁকে প্রাণিত, ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ করে কাব্য ও চিত্রশিল্পের যৌথসৃজনে। বাংলার জনপদ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শৈশবস্মৃতি, ভালোবাসা, মুক্তিযুদ্ধের শানিত চেতনা, প্রতিবাদ ও দ্রোহ তাঁর কাব্যশরীরে মূর্ত ও বিমূর্ত নিবেদনে ভাস্বর। কোমল প্রেম ও প্রকৃতি, নিসর্গের অন্তর্নিহিত অভ্রংলিহ আবেগ তাঁকে আচ্ছন্ন করে, মানবতার পীড়ন তাঁকে দগ্ধ করে।