
লি (Lee)
জাহিদ, বিদিশা, শুচিতা, শান্তনু আর বুলবুল—পাঁচজন কেন্দ্রীয় চরিত্র এই উপন্যাসে আবর্তিত হয়েছে একটি চরিত্রকে ঘিরে—লি। যার আসল নাম সোনালি। অপূর্ব সুন্দরী এই নারী কবিতা লেখে। বাকি পাঁচজনও সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত। লি এত বেশি সুন্দরী, তার রূপের বর্ণচ্ছটায় চারপাশ আঁধার হয়ে আসে। তরুণদের জীবনে নেমে আসে অমোঘ সর্বনাশ। রূপসী এই নারীর কবি প্রতিভা ঢাকা পড়ে যায় তার রূপের ঔজ্বল্যে।...

লি (Lee)
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ১৯৯৭
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
128
ISBN
978 984 502 008 1
বইয়ের তথ্য
জাহিদ, বিদিশা, শুচিতা, শান্তনু আর বুলবুল—পাঁচজন কেন্দ্রীয় চরিত্র এই উপন্যাসে আবর্তিত হয়েছে একটি চরিত্রকে ঘিরে—লি। যার আসল নাম সোনালি। অপূর্ব সুন্দরী এই নারী কবিতা লেখে। বাকি পাঁচজনও সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত। লি এত বেশি সুন্দরী, তার রূপের বর্ণচ্ছটায় চারপাশ আঁধার হয়ে আসে। তরুণদের জীবনে নেমে আসে অমোঘ সর্বনাশ। রূপসী এই নারীর কবি প্রতিভা ঢাকা পড়ে যায় তার রূপের ঔজ্বল্যে। আর এই বিষয়টাই লি-কে করে তোলে মর্মান্তিক।
তাকে নিয়ে সাহিত্যপাড়ায় নানা গুজব রটে।
যারা তার বন্ধু—জাহিদ, বিদিশা, শান্তনু, বুলবুল আর শুচিতা—কোনোদিক দিয়েই লি-কে কেউ ছাপিয়ে উঠতে পারে না। পুরুষেরা তার প্রেমে পড়ে শত্রু হয়ে ওঠে, আর নারীরা ঈর্ষার যন্ত্রণায় পুড়ে তাকে এড়িয়ে চলে। এইসব চক্রের মধ্যে লি-র জীবন ছিন্নভিন্ন হয়ে উঠতে থাকলে সে সন্তর্পণে বন্ধুতার সুতো ছিঁড়ে ফেলতে থাকে।
বাকিরা তখন কোন পথে হাঁটে?
এই দলের সবচেয়ে উদার শান্ত সংযমী কবি জাহিদ, যে বিশ্বাস করে, যারা কবিতার স্রষ্টা তাদের জীবন হতে হয় সুশৃংখল। সে এইসব স্রোতের পাঁকে ভেসে না গিয়ে বিদিশার পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তার প্রিয়তম শিল্পকে নিজের সত্তার সাথে এক করে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এই উপন্যাসে ছয়টি চরিত্রই প্রধান, মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় জীবনযুদ্ধের টানাপোড়েনে সবগুলি চরিত্রই উজ্জ্বল।