ফুরায় বেলা
অর্থি গম্ভীর হয়ে চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে ওকে একটু হালকা করতে চাইলাম। ম্যাথ বোঝাতে থাকলাম। দুষ্টুমি করে নিউটনের তৃতীয় সূত্র জিজ্ঞেস করলাম। কোনো সাড়া নেই। অর্থির চোখ থেকে এক ফোটা জল ওর কপোল গড়িয়ে আমার হাতের ওপর পড়ল। আহা! গোধূলিবেলায় সূর্যমুখী পৃথিবীটা যখন গাঢ় কমলা রঙে ঢেকে যায় সেই সময় জলের ফোঁটাটা যদি খরস্রোতা আড়িয়াল খাঁ নদীর...
ফুরায় বেলা
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২৩
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
152
ISBN
9789849744108
বইয়ের তথ্য
অর্থি গম্ভীর হয়ে চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে ওকে একটু হালকা করতে চাইলাম। ম্যাথ বোঝাতে থাকলাম। দুষ্টুমি করে নিউটনের তৃতীয় সূত্র জিজ্ঞেস করলাম। কোনো সাড়া নেই। অর্থির চোখ থেকে এক ফোটা জল ওর কপোল গড়িয়ে আমার হাতের ওপর পড়ল। আহা! গোধূলিবেলায় সূর্যমুখী পৃথিবীটা যখন গাঢ় কমলা রঙে ঢেকে যায় সেই সময় জলের ফোঁটাটা যদি খরস্রোতা আড়িয়াল খাঁ নদীর বুকে পড়ত, তাহলে হয়ত সে জল আমি দেখতে পেতাম না, আর সে জলের ভারও আমায় বইতে হতো না। কিন্তু এ জল যেন বর্ষার বানভাসি জলের মতো। সব বাঁধা উপেক্ষা করে হু হু করে ঢুকে পড়ল লোকালয়ে। এ জল আমার হাত ছাপিয়ে বুকের মধ্যে যেন দু কুল ভাঙা খরস্রোতা জলের প্রমত্তা পদ্মা। সব কেড়ে নিয়ে আমাকে সর্বশান্ত করতে চাইছে। কী বলে বোঝাব তাকে এই সবুজ শ্যামলিমার ছায়া মায়ার সাথে আরেকটা শান্ত মায়াময় মুখ যুক্ত হয়েছে আমার ভালোলাগার নিভৃত কোণে। আমার শৈশব, কৈশোর এই গোপালপুরের ধুলো মাটিতে মিলেমিশে একাকার। সবুজ পাতার সাথে, এই বুনো ঘ্রাণে নিঃশব্দ মিশে আছে আমার নিঃশ্বাস, আমার প্রথম ভালোলাগা। কী করে ভালো থাকব প্রিয় গোপালপুর ছেড়ে।