পা রেখো না বারান্দার বাইরে
সময়কে ঋণী রেখে শব্দে-শব্দে মালা গাঁথা হলো কবির কাজ। কারণ সময়-ই ভবিষ্যতের বড় বিচারক। আশির দশক থেকে সম্পূর্ণ নির্মোহ থেকে নিভৃতে কবিতায় যার নিত্য চলাচল তিনি-ই কবি সাজিদুল হক। দীর্ঘ সময়ে বুনেছেন অনেক কবিতা। ‘অন্যকোন সুরঞ্জনা’ থেকে ‘আততায়ীর অপেক্ষায়’ ব্যয় করেছেন অগাধ সময়। মহলের উল্টোদিকে সুরঞ্জনা গিয়েছে হেঁটে, তার-ই পিছে কখনো মিছে; শাদাসিদে, মির্জাবাড়ির কন্যা নিলুফার-ছায়াতলে।উত্তর আধুনিক সাহিত্য আন্দোলনের সক্রিয়...
পা রেখো না বারান্দার বাইরে
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২১
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
72
ISBN
978 984 502 760 1
বইয়ের তথ্য
সময়কে ঋণী রেখে শব্দে-শব্দে মালা গাঁথা হলো কবির কাজ। কারণ সময়-ই ভবিষ্যতের বড় বিচারক। আশির দশক থেকে সম্পূর্ণ নির্মোহ থেকে নিভৃতে কবিতায় যার নিত্য চলাচল তিনি-ই কবি সাজিদুল হক। দীর্ঘ সময়ে বুনেছেন অনেক কবিতা। ‘অন্যকোন সুরঞ্জনা’ থেকে ‘আততায়ীর অপেক্ষায়’ ব্যয় করেছেন অগাধ সময়। মহলের উল্টোদিকে সুরঞ্জনা গিয়েছে হেঁটে, তার-ই পিছে কখনো মিছে; শাদাসিদে, মির্জাবাড়ির কন্যা নিলুফার-ছায়াতলে।
উত্তর আধুনিক সাহিত্য আন্দোলনের সক্রিয় অংশীদার হয়ে ডুবেছিলেন ইতিহাস-ঐতিহ্য, মিথ-পুরাণ আর সমকালের নানা শাখা-প্রশাখায়। আবার দেশ মাতৃকার নিটোল প্রেমে মগ্ন থেকে ভেঙে দিতে চান কর্পোরেট বাণিজ্যের বিশাল জাহাজ। মেদহীন পেলব বয়ানে ছড়িয়ে দেন পাঠক-সুখ।
‘পা রেখো না বারান্দার বাইরে’ সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজের দক্ষ বুননের দারুণ এক কবিতাগ্রন্থ। ‘আমারও প্রশ্ন সুদর্শনা তোমাকে/আমার অপেক্ষা থেকে কী জন্ম নেবে না প্রেম ?’ প্রেমের সুললিত দেহে দিয়েছে ফুল, কবিতাদেবীর এলোকেশী চুলে। বাস্তবতার রঙমশালে দিয়েছে ঢেউ অফুরান। যার বিন্দুতে বিন্দুতে স্ফুরিত হয় সময়ের সঠিক ইতিহাস। কখনো গায়ে মাখে বেলে-দোঁয়াশের সোঁদা গন্ধ। আবার কখনো মনোমন্দিরের দেবীকে ভালোবেসে হাঁটেন বিনির্মিত ইতিহাসে।
কবি যখন বলেন, ‘ত্যক্ত-বিরক্ত সবাই জানতে চায় কে তুমি ?/ তারা জানে না তুমি আজ ঈশ্বরী।’
অনুপম চৌধুরী
১৩ অক্টোবর, ২০২০ খ্রিঃ