পাষাণ হিয়ার ঘাটে
ডাহুকডাকা গ্রামের তালুকদার পরিবার ধনে মানে গ্রামের মধ্যে সেরা। অবশ্য একসময় তাদের এত ধনসম্পত্তি ছিল না। কথিত আছে শীতের এক গভীর রাতে এক হিন্দু দম্পতি এই তালুকদার বাড়িতে আসে। সে রাতেই রহস্যজনকভাবে দুজনেই মারা যায়। তাদের মৃত্যুটা ছিল অস্বাভাবিক। তাদের সাথে ছিল বিপুল পরিমাণ গহনা ও টাকা। বড় তালুকদার জগলুল আলম ও তার লাঠিয়াল কাদের সেই রাতের ঘটনার সাক্ষী। জগলুল...
পাষাণ হিয়ার ঘাটে
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২৩
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
64
ISBN
978 984 502 838 7
বইয়ের তথ্য
ডাহুকডাকা গ্রামের তালুকদার পরিবার ধনে মানে গ্রামের মধ্যে সেরা। অবশ্য একসময় তাদের এত ধনসম্পত্তি ছিল না। কথিত আছে শীতের এক গভীর রাতে এক হিন্দু দম্পতি এই তালুকদার বাড়িতে আসে। সে রাতেই রহস্যজনকভাবে দুজনেই মারা যায়। তাদের মৃত্যুটা ছিল অস্বাভাবিক। তাদের সাথে ছিল বিপুল পরিমাণ গহনা ও টাকা। বড় তালুকদার জগলুল আলম ও তার লাঠিয়াল কাদের সেই রাতের ঘটনার সাক্ষী। জগলুল আলমের মা রাজিয়া অত্যন্ত চতুর মহিলা ছিলেন। তিনি সেই টাকা ও গহনা পুরোটাই আত্মসাৎ করেন। লাঠিয়াল কাদেরকে সেই ধনসম্পদের কোনো ভাগ দেন নি তিনি।
এরপরে তালুকদার পরিবার গ্রামের মধ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তিতে আরও শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়।
কিছুদিন পর জগলুল তালুকদারকে ডাকাতের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে গিয়ে কাদের মারা যায়। তার স্ত্রী ও শিশুপুত্র নাদেরের দায়িত্ব তুলে নেন তালুকদার পরিবার। তাদের তৃতীয় প্রজন্ম শাহরিয়ার ও কোহিনূর ছোটবেলা থেকে গ্রামের উন্মুক্ত পরিবেশে একসাথে খেলাধুলা করে বড় হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে মায়া, মমতা, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুটো দুর্ঘটনা কোহিনূরকে কিছুটা পঙ্গু করে দেয়। সে দুটো দুর্ঘটনা শাহরিয়ারই ঘটায়। সেই অপরাধবোধ থেকেই কৈশোরে শাহরিয়ার কোহিনূরের প্রতি অবুঝ ভালোবাসায় মোহাচ্ছন্ন হয়। যদিও বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন কোহিনূর এ আবেগকে প্রশ্রয় দেয় না।