নিঃসঙ্গতার পাহারাদার
আপাতদৃষ্টিতে দুটো মূল নারীসত্তাকে কেন্দ্র করে উপন্যাস এগিয়ে গেছে। হাসপাতালে খুন হওয়া সেতুকে দেখতে গিয়ে নুসরাত দুর্ঘটনার চক্করে পড়ে। তার অদ্ভুত আড্ডাময় দিনগুলো ক্রমশ স্থবির আঁধারিয়ার মধ্যে পাক খেতে থাকে। হাতের শোল্ডারটা অকেজো হতে থাকলেও নুসরাত তার আহত হাত নিয়ে নয়, ঘুর খায় তার সত্তায় আরেকটি ছায়ার উপস্থিতি নিয়ে। এদিকে পার্বত্য এলাকায় বাসরত টুনিবেবি পাক খায় তার শৈশবে পাহাড়ি জীবনের...
নিঃসঙ্গতার পাহারাদার
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমলো ২০১৬
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
128
ISBN
978 984 502 305 4
বইয়ের তথ্য
আপাতদৃষ্টিতে দুটো মূল নারীসত্তাকে কেন্দ্র করে উপন্যাস এগিয়ে গেছে। হাসপাতালে খুন হওয়া সেতুকে দেখতে গিয়ে নুসরাত দুর্ঘটনার চক্করে পড়ে। তার অদ্ভুত আড্ডাময় দিনগুলো ক্রমশ স্থবির আঁধারিয়ার মধ্যে পাক খেতে থাকে। হাতের শোল্ডারটা অকেজো হতে থাকলেও নুসরাত তার আহত হাত নিয়ে নয়, ঘুর খায় তার সত্তায় আরেকটি ছায়ার উপস্থিতি নিয়ে। এদিকে পার্বত্য এলাকায় বাসরত টুনিবেবি পাক খায় তার শৈশবে পাহাড়ি জীবনের নানা স্মৃতির মধ্যে। তার প্রাণপ্রিয় ছোটভাই বুবলুকে মাটিতে ফেলে বাড়ি ছাড়া হয়েছিল সে। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রথমে স্বপ্নময়, পরে শান্তনু- এই দুইজন মানুষের সঙ্গে প্রেমজ সম্পর্কে ডুবজল খেতে খেতে সে চূড়ান্ত মাতাল জীবনের মধ্যে ভাসতে থাকে। নুসরাত অনুভব করে, সে একা নয়, তার আরেকটা সত্তা প্রায়ই তার ওপর ভর করে তাকে এক অসহ্য অনুভূতির মধ্যে ফেলে। টুনিবেবিও অনুভব করে, সে আদৌ কোনো সম্পূর্ণ সত্তা নয়, সে যেন একটা খোলস। অন্য একটা দেহে সমর্পিত হওয়ার জন্য তার বোধে খাই খাই ক্ষিদে ওঠে। এর মধ্যে কুয়াশার মতো মিশে থাকে নুসরাত আর টুনিবেবির জন্ম সময়। দুজন দু মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েও যমজবোধে আক্রান্ত হয়ে থাকে। জহির ক্যানভাস উদোম করে। দুটি সত্তা সেখানে একাত্ম হয়ে বাঁচার স্বপ্নে একীভূত হতে থাকে।