
চা অর্থনীতি (Cha Aurthoniti)
চা একটি অর্থকরী ফসল। বিশ্বজুড়ে রয়েছে চায়ের বিশাল বাজার। আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চায়ের অবদান ছিল ৪%। সে হিসাবটা এখন আর নেই, ভোগ বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। উৎপাদন সেই হারে বাড়ে নি। তারপরও বাংলাদেশে ২০২৪ সালে চায়ের বাজার ছিল প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ২০৩০ সালে হয়তো দাঁড়াবে ৩.২৬ বিলিয়ন ডলারে। বৈশ্বিক চায়ের বাজার ছিল প্রায় ২৫.৬...

চা অর্থনীতি (Cha Aurthoniti)
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২৫
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
240
ISBN
978 984 259 006 7
বইয়ের তথ্য
চা একটি অর্থকরী ফসল। বিশ্বজুড়ে রয়েছে চায়ের বিশাল বাজার। আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চায়ের অবদান ছিল ৪%। সে হিসাবটা এখন আর নেই, ভোগ বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। উৎপাদন সেই হারে বাড়ে নি। তারপরও বাংলাদেশে ২০২৪ সালে চায়ের বাজার ছিল প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ২০৩০ সালে হয়তো দাঁড়াবে ৩.২৬ বিলিয়ন ডলারে। বৈশ্বিক চায়ের বাজার ছিল প্রায় ২৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ধারণা করা হয়, ২০৩০ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৮.১ বিলিয়ন ডলারে।
এসব তথ্য শুধু চা বেচা কেনার। চা উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, চা প্রস্তুতকরণ ও পরিবেশনের জন্য যে আর্থিক ব্যয় নির্বাহ, তার হিসাব কোনোভাবেই ছোট করে দেখার মতো নয়। চা উপকরণের বিশ্ববাজার মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। চা উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শিল্প-কারখানার যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হয়। চা পরিবেশন এবং পানের জন্য যেসব চা পাত্র বা টিসেটের প্রয়োজন হয় বিশ্বব্যাপী এই শিল্পের বাজারও বিশাল। চা কেনাবেচা এবং ভোগের বিষয়গুলো ছাড়া চায়ের বাজার নিয়ে এ দুটি শিল্প সম্পর্কে কোনো আলোচনাই হয় নি। অথচ দুটি শিল্পকে ঘিরে বিশ্ব অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হয়েছে তেমনি কোটি কোটি মানুষের জীবিকার সংস্থানও হচ্ছে। এ সকল বিষয়গুলো কখনোই আলোচনার মধ্যে আসে নি, যা এই বইতে তুলে আনা হয়েছে।