জোছনাত্রয়ী
প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাইগৃহত্যাগী হবার মতো জ্যোৎস্না কি উঠেছে ?বালিকা ভুলানো জ্যোৎস্না নয়।যে জ্যোৎস্নায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে—ও মাগো, কী সুন্দর চাঁদ !নবদম্পতির জ্যোৎস্নাও নয়।যে জ্যোৎস্না দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন—দেখ দেখ নীতু চাঁদটা তোমার মুখের মতোই সুন্দর!কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জ্যোৎস্না নয়।যে জ্যোৎস্না বাসি স্মৃতিপূর্ণ ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।কবির জ্যোৎস্না নয় যে...
জোছনাত্রয়ী
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ১৯৯৯
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
176
ISBN
9789845026987
বইয়ের তথ্য
প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই
গৃহত্যাগী হবার মতো জ্যোৎস্না কি উঠেছে ?
বালিকা ভুলানো জ্যোৎস্না নয়।
যে জ্যোৎস্নায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে—
ও মাগো, কী সুন্দর চাঁদ !
নবদম্পতির জ্যোৎস্নাও নয়।
যে জ্যোৎস্না দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন—
দেখ দেখ নীতু চাঁদটা তোমার মুখের মতোই সুন্দর!
কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জ্যোৎস্না নয়।
যে জ্যোৎস্না বাসি স্মৃতিপূর্ণ ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।
কবির জ্যোৎস্না নয় যে জ্যোৎস্না দেখে কবি বলবেন-
কী আশ্চর্য রুপার থালার মতো চাঁদ!
আমি সিদ্ধার্থের মতো গৃহত্যাগী জ্যোৎস্নার জন্য বসে আছি।
যে জ্যোৎস্না দেখামাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে-
ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়বে বিস্তৃত প্রান্তর।
প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব—
পূর্ণিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে।
চারদিক থেকে বিবিধ কণ্ঠ ডাকবে—আয় আয় আয়।
(‘গৃহত্যাগী জ্যোৎস্না’/হুমায়ূন আহমেদ)