জীবনবোধের বোধন
মানব মনের ভাবনা-কল্পনার অনুভূতিগুলো শব্দসম্ভারে ছন্দময়রূপে কবিতার রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাই ছন্দ। শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাসই ছন্দকবিতা, যা একজন কবির আবেগ, অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তনের ছন্দবদ্ধ সংক্ষিপ্ত রূপ। ছন্দ কবিতাই সাহিত্যের সুর, যা মূলত শ্রুতিনান্দনিক শব্দের সমন্বয়ে, তালে ও ছন্দে বিন্যস্ত, আবেগঘন অর্থের প্রকাশ, কথন বা লেখন।ডক্টর মোহাম্মদ...
জীবনবোধের বোধন
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০২২
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
112
ISBN
978 984 502 886 8
বইয়ের তথ্য
মানব মনের ভাবনা-কল্পনার অনুভূতিগুলো শব্দসম্ভারে ছন্দময়রূপে কবিতার রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাই ছন্দ। শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাসই ছন্দকবিতা, যা একজন কবির আবেগ, অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তনের ছন্দবদ্ধ সংক্ষিপ্ত রূপ। ছন্দ কবিতাই সাহিত্যের সুর, যা মূলত শ্রুতিনান্দনিক শব্দের সমন্বয়ে, তালে ও ছন্দে বিন্যস্ত, আবেগঘন অর্থের প্রকাশ, কথন বা লেখন।
ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর আলমের জীবনবোধের বোধন অন্ত্যমিলযুক্ত একশত ছন্দ কবিতার সংকলন। এখানে দুঃখ, সুখ, মিলন, বিরহ, হর্ষ, বিষাদ, উচ্ছ্বাস, উল্লাস, আশা, নিরাশা, হতাশা, আবেগ, স্বপ্ন, বিশ্বাস, হা-হুতাশ, তাল, লয়, প্রলয়, অপেক্ষা, প্রতীক্ষা, দহন, প্রণয়- জীবনের বারোয়ারি এই অনুভবগুলো লেখার পরতে পরতে একেবারে জীবন্ত হয়ে ধরা দিয়েছে। গীতিকবিতাগুলো যাপিতজীবনের ঘরকন্নার গান। জীবনের এলেবেলে গলিপথগুলো একেবারে চিরচেনা হয়ে এখানকার গীতিকবিতার অক্ষরে-অক্ষরে ধরা দিয়েছে। এখানে কখনো জীবন ‘তাক ধিনা ধিন’ ছন্দে নাচে, কখনো ‘স্বপ্নের স্বপ্নভঙ্গ’-র যন্ত্রণায় কাতরায়। এখানে ‘মনপাখি’ ধায় দূর অচিন দেশে, এখানে ‘অভিশাপের দহন’ দাহে পুড়ে খাক হয় ‘অভিমানীর প্রণয়’। ‘স্মৃতির ব্যথা’ আর ‘বিরহানল’ ‘সময়বন্দী দুঃখ গাঁথা’য় ভরিয়ে দেয় ‘কবিতার অভিমানী অক্ষর’। এখানে ‘জীবনবোধের বোধন’ মানে কখনো ‘অন্তরালের বেদনাকাব্য’, কখনো মনগহিনের ‘আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা তীক্ষè ব্যথা’। এখানে ‘নবীন কবি’ ‘ভালোবাসার আবীর’ মেখে ‘মন খেলা’ আর ‘রঙ্গখেলা’য় মেতে ‘ভালোবাসার দোলা’য় দোল খেয়ে পার করে ‘মেঘলা দুপুর’ কিংবা পুরো ‘যাপিত দিন’। ‘সময়ের সাথে’ চলতে চলতে একসময় ফুরোয় ‘দিগন্তের পথ’ আর ‘জীবনের নিঃশ্বাস’ ‘কবির ও কবিতার মৃত্যু’র ‘শেষ সময়ের সাক্ষী’ হয়। কবিতার শেষ পৃষ্ঠার সাথে ‘মৃত্যু’ হয় কবির কিন্তু ‘জীবনবোধের জীবন’ ‘শেষ জীবনের শেষ অনুভব’ হয়ে পরপারের ‘আন্ধার জীবন’-এর সাথে সাথি হয় আর সাঙ্গ করে জাগতিক কাব্যলীলা।