কে তুমি
কথাটা আমি প্রায়ই শুনি, সাধারণত ঘুমানোর আগে শুনি। কিন্তু কথাটা কে বলে তাকে দেখতে পাই না। এদিক-ওদিক তাকাই, আশপাশে খুঁজি, কোথাও তাকে দেখা যায় না। মাঝে মাঝে মেঝেতে তার হাঁটার শব্দ শোনা যায়- খস খস..., খস খস...। সে যে আমার চারপাশে চলাফেরা করে সেটা বুঝতে পারি, কেবল বুঝতে পারি না কে এভাবে হাঁটে, কে আমাকে এভাবে অদৃশ্যভাবে ঘিরে রাখে অবিরত!...
কে তুমি
প্রথম প্রকাশিত
একুশে বইমেলা ২০০৯
পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য
104
ISBN
978984502 587 4
বইয়ের তথ্য
কথাটা আমি প্রায়ই শুনি, সাধারণত ঘুমানোর আগে শুনি। কিন্তু কথাটা কে বলে তাকে দেখতে পাই না। এদিক-ওদিক তাকাই, আশপাশে খুঁজি, কোথাও তাকে দেখা যায় না। মাঝে মাঝে মেঝেতে তার হাঁটার শব্দ শোনা যায়- খস খস..., খস খস...। সে যে আমার চারপাশে চলাফেরা করে সেটা বুঝতে পারি, কেবল বুঝতে পারি না কে এভাবে হাঁটে, কে আমাকে এভাবে অদৃশ্যভাবে ঘিরে রাখে অবিরত! কিছুদিন পর বুঝতে পারি নিপাও কেমন যেন করে। রাত হলেই কেমন যেন পাল্টে যায় ও। ঘুমের মাঝে হাসতে থাকে কিন্তু হাসিটা কেমন যেন অন্যরকম মনে হয়, রহস্যময় হাসি। রাত হলে পাল্টে যায় আমাদের ছোট কাজের মেয়েটাও। হঠাৎ-হঠাৎ তার কাছে এক-একটা পুতুল চলে আসে, লাল-নীল পুতুল, ছোট-বড় পুতুল, কিন্তু কোথা থেকে আসে কেউ জানে না। পাশের ফ্ল্যাটের মোর্শেদ সাহেব আর তার স্ত্রীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুও আমাদের এই বাসাটা। তারা নাকি রাত-বিরাতে কী দেখতে পান আমাদের বাসার বারান্দায়! সারারাত ভরে তারা তা দেখার চেষ্টা করেন। সুমার মাধ্যমে অবশেষে আমার পরিচয় হায়াৎ রাস্তি নামে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে। আধপাগলা অথচ ভীষণ সচেতন এই মানুষটা সবকিছুর সমাধান করে ফেলেন এক সময়। তারপরও আমি সেই কথাটা শুনতে পাই। আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলা সেই কথাটা শুনে আমি প্রায়ই চিৎকার করে বলি- কে তুমি, কে তুমি ? কেউ কোনো উত্তর দেয় না। সারা রাত নির্ঘুম কেটে যায় আমার।